রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ অপহরণের তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি ১৪ বছরের রংপুর সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্রী। তাঁকে উদ্ধারের আশায় বাবা আঃ রহিম থানা পুলিশ সহ সমাজের গন্যমান্যদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আশ্বাস ছাড়া কিছু মিলছে না।পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।উপরস্থ অপহরণ কারীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদিও থানার পুলিশ অতিদ্রত অপহ্রত কে উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব বলে জানিয়েছে। মামলার বাদী আঃ রহিম গত ৬ই জুলাই/২0 ইং তারিখে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মেট্রোতে মামলা করেন। যার মামলা নং১১/৩৩৬. মামলার এজাহারে বলা হয়েছে – আমার মেয়ে রোমানা আক্তার( রিয়া) রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এ নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।আসামি মোবাশ্বের রাশেদুল রিপন(২১) পিতা হাতেম উদ্দিন, সাং-বাকারা মধুপুর,থানা-উলিপুল,জেলা -কুড়িগ্রাম।আমার বাড়ির পাশে আানিস ছাত্রাবাস থেকে প্রাইম হসপিটালের নার্সিং এ লেখাপড়া করে। আমার নাবালিকা মেয়ে স্কুল যাওয়ার প্রায় দিনে প্রেম নিবেদনসহ উত্যক্ত করত। আমি বিষয়টি জানিতে পাড়িয়া উক্ত আসামিকে সতর্ক করিয়া দেই।অতঃপর আসামি প্রেম এ ব্যর্থ হইয়া,ঘটনার দিন কয়েকজন মিলে আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে।প্রথম বিষয়টি নিখোঁজ মনে করে গত ০২/০৫/২০২০ ইং তারিখে নিখোঁজ এর জিডি থানায় অবগত করি,কিন্তু পড়ে জানতে পারি উক্ত আসামি আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে। তাই গত ০৬/০৭/২০২০ ইং তারিখে অপহরণ মামলায় করি। মামলার বাদী আঃ রহিম বলেন-অভিযোগ ঘটনার পরপরই বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে থানা পুলিশকে জানিয়েছেন কিন্তু পুলিশ অভিযোগ ঘটনার একমাস পর মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে। অপহরণের পর থেকে আসামিরা প্রায় প্রতিদিন তাকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।তার ধারণা আসামিরা তার নাবালিকা মেয়ে ধর্ষণ, নির্যাতন কিংবা অন্যত্রে পাচার করে দিয়েছে। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বিল্লাল বলেন -থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে আমরা আসামি গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছি কিন্তু আসামিরা খুব চালাক হওয়ায় তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব দ্রুত ধরা সম্ভব হবে। এসআই বিল্লাল এর কথা মতো আসামীর গ্রামের বাড়ির নিকট আমিনুল ইসলাম নামে এক আত্মীয়কে বলা হয় যে আসামিদের দেখা মাত্র যেন খবর দেওয়া হয়,সেই কথা মতো আমিনুল ইসলাম গত ১১/০৮/২০২০ ইং তারিখে আসামিদেরকে তার বাড়ির সামনে দেখা মাত্র এসআই বিল্লাল এবং বাদিকে অবগত করেন,বাদীর কথা মতো আমিনুল ইসলাম নিকটবর্তী উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন কে অবগত করেন, কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি আমলে নেয়নি,বরং উল্টো সংবাদদাতা আমিনুল ইসলাম এর সাথে দুরব্যবহার করেন।এই সুবাদে আসামিরা লাঠি সোটা এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আমিনুল ইসলাম এর বাড়িতে হামলা করে বাড়ি ভাংচুর লুটপাট এবং আমিনুল ইসলাম সহ পরিবারের লোকজন কে আহত করে এবং হত্যা করার হুমকি দেয়, আমিনুল ইসলাম উপায় না পেয়ে আবারও ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন কে কল অবগত করলে এবারও তিনি কোন সাহায্য করে না,ফলে নিরুপায় হয়ে আমিনুল ইসলাম ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি অবগত করেন, ৯৯৯ এ কল করা মাত্রই পুলিশ উলিপুর থানার বাকারা মধুপুর গ্রামে গিয়ে আমিনুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে, বর্তমানে আমিনুল ইসলাম কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে,ঘটনার দিন গত ১১/০৮/২০২০ ইং তারিখে আমিনুল ইসলাম এর বড় ছেলে পিতার বিচার চেয়ে উলিপুর থানায় গেলে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন মামলার রেকর্ড এতো সহজ নয়,ডিউটি অফিসারকে লিখিত কাগজ দিয়ে যাও,বিষয়টি আমরা দেখতেছি,ঘটনার তিন দিন পার হলেও এখনো মামলার হয়েছে কি না,তা আমিনুল ইসলাম এর পরিবার জানে না, এদিকে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে কল করে অপহরণ মামলার বাদী আঃ রহিমকে মামলা তুলে নিতে বলছে এবং আমিনুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা বলে যে পুর্ব থেকে আমরা মামলা বাঝ,থানা পুলিশ আমাদের হাতের মোটে বন্ধি। এদিকে নাবালিকা মেয়ের বাবা মা মেয়ে হারিয়ে তারা দিশেহারা, তারা মহান আল্লাহ তায়ালা কাছে বিচার চাচ্ছে, আর পাগলের সংলাপ করে বলছে,তোমরা আমার মেয়েকে এনে দাও।