মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী গণতন্ত্র সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জনগণ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধের জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের সেনা সরকার।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার বাধা দিলে ৭ বছরের জেল দেয়া হবে। এছাড়াও কেউ যদি প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা ও জনগণের মাঝে ভয়ভীতি সঞ্চার করে তাহলে তিন বছরের জেল দেয়ার বিধান করেছে। এভাবে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত জরিমানা ও জেল দেয়ার আইন করেছে দেশটির সেনা শাসক।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে সোমবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে বিষয়টি। বিবৃতিতে বলা হয়, কথা, লেখা ও বলার মাধ্যমে বা কিছু স্বাক্ষর বা দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ঘৃণা প্রচার করা হলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা দেয়া হবে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দমনে সামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে মাঠে। রাস্তাগুলোতে সাঁজোয়া যান টহল দিচ্ছে। স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের পার্লামেন্টের সদস্যরা সেনাবাহিনীর মানবতা লঙ্ঘন অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানান জাতিসংঘকে। দেশটির ৩০০ জন এমপির স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়।
জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে এ সরকারের পতন ঘটানোর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন মানুষ। এ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চীনসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাস কেন্দ্রেও বিক্ষোভও করছেন তারা।