বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিলকৃত গ্রাহকরাও ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত সময় পাবেন। সুবিধাটা নিশ্চিত করে বুধবার একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কভিড-১৯ এর কারণে ঋণ আদায় কর্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে সরকার ঘোষীত বন্ধ দিনগুলোর সমান সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আগেই। তবে গতকাল জারি করা সর্কুলারের মাধ্যমে দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ বছরে মেয়াদে ঋণ পুনঃতফসিলকারীদেরও এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধী ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
গত বছর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাত্র ২ শতাংশ নগদ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য মন্দমানের খেলাপি ঋণ নবায়নের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৯ শতাংশ। এমনকি পুনঃতফসিলের আগে সুদ মওকুফ সুবিধার সুযোগও রাখা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো খসড়া পরিপত্রের আলোকে ১৬ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ এ নীতিমালার আওতায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ব্যাংকগুলো ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনারোপিত সুদের সম্পূর্ণ অংশ এবং ব্যাংকের স্থগিত খাতে রক্ষিত সুদের পুরোটা মওকুফ করতে পারবে। তবে কোনো ক্ষেত্রে সুদহার ৯ শতাংশের বেশি হবে না। মাসিক অথবা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে এ ঋণ আদায় করা যাবে। প্রচলিত নিয়মে আসল এবং সুদ বিবেচনায় নিয়ে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ঋণঃতফসিলের ক্ষেত্রে নগদে ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট নিতে হবে। কোনো ঋণের ৯টি মাসিক কিস্তির মধ্যে ৬টি এবং ৩টি ত্রৈমাসিক কিস্তির ২টি অনাদায়ী হলে এ সুবিধা বাতিল হবে।